মাইল মাইল নির্যাতিতকল্যাণের দুরাশায়…
Posted on 13th October, 2024 (GMT 07:50 hrs)
ABSTRACT
The article discusses a shift from hesitation to terror, framed within a broader socio-political context. It references historical events and figures, such as a jujutsu lesson at Tagore’s Santiniketan, and reflects on societal fears in modern times. The piece explores themes of empowerment, fascism, and the manipulation of power by the state. It draws parallels between past struggles and present challenges, advocating for an approach to resistance through self-awareness and resilience.
The Above Poster features Edward Munch’s “The Scream”, a portion of Pablo Picasso’s “Guernica”, Auguste Rodin’s “The Cry” and Asit Sain’s “The Cry of the Hour”.
অভয়া ও আন্দোলনরত তরুণ ডাক্তারদের উদ্দেশে নিবেদিত…
বিশ শতকের তিনের দশকের ঘটনা। সে সময়ের গোড়ার দিকে জাপান থেকে শান্তিনিকেতন আসেন তাকাগাকি নামের এক মহিলা জুজুৎসুবিদ্। এক দূরদর্শী মানুষ (social myopia হয়নি যার) তাঁর আশ্রমের সাবালিকা কন্যাদের ডাক পাঠালেন জুজুৎসু শেখবার জন্য, কিন্তু আশ্রমকন্যারা সলজ্জিত সংকোচে কেউ এলেন না। ওই দূরদর্শী মানুষটি তখন একটি গান লিখলেনঃ
সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান।
সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ।
মুক্ত করো ভয়, আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।
দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো,
নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।
মুক্ত করো ভয়, নিজের ‘পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়।
ধর্ম যবে শঙ্খরবে করিবে আহ্বান
নীরব হয়ে নম্র হয়ে পণ করিয়ো প্রাণ।
মুক্ত করো ভয়, দুরূহ কাজে নিজেরি দিয়ো কঠিন পরিচয়॥
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): পৌষ, ১৩৩৬ (খৃষ্টাব্দ: ১৯৩০)
কালের হিসেবে এই গানের প্রায় একশো বছরের কাছাকাছি সময় পার হয়ে গেলেও তথাকথিত “বাঙালি” হৃদয়ঙ্গম করতে পারেনি এই গানের তীব্র আত্মধিক্কার তথা প্রাণশক্তিময় মেজাজ।
অনেক পরে ১৬ই মার্চ ১৯৩৯-এ নিউ এম্পায়ারে জুজুৎসু প্রদর্শনী আয়োজন করেন সেই মানুষটিই। কিন্তু তখনও হল প্রায় ফাঁকাই পড়ে থাকে, কারণ সকলে নাকি কোন এক মার্কিনী ফিল্মস্টারকে দেখতে ছুটেছেন (মানুষ বড় উৎসবপ্রিয়—উৎসবপ্রিয়াঃ “খলু মনুষ্যাঃ” মোচ্ছবের অ-কালে দুষ্যন্তের এই কথাটা মনে পড়ে গেলো। এই আমেজেই তো দুঃখ-রাগ ভুলে মোচ্ছবের আড়ম্বরে মাতা যায়। শাসকও তো তাই চায়!)। তবে সাত-সাতজন আশ্রমকন্যা সেদিন স্টেজে উঠেছিলেন বইকি!
প্রসঙ্গতঃ, বিভূতিবাবুর “আইনস্টাইন ও ইন্দুবালা” গপ্পোটির কথা মনে পড়ে যায়। আইনস্টাইন এক মফঃস্বলে এসেছেন বক্তিমে দেবেন বলে। কিন্তু মহানায়িকা ইন্দুবালাকে দেখতে সেদিনই সবাই ছুটেছে অন্য সভাঘরে। আইনস্টাইনের বক্তিমে শোনার জন্য লোক নেই–হল বিল্কুল ফাঁকা।
এই “ফাঁকা” পরিসরই এখনো আমাদের সন্ত্রস্ত করে চলেছে। ১৯৩৬-এ তাই সেই মানুষটি একটা শব্দ পালটে ফেলে ফের নতুন করে লিখলেনঃ
সন্ত্রাসের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান।
সংকটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ।
মুক্ত করো ভয়,
আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।
দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো,
নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।
মুক্ত করো ভয়,
নিজের ‘পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়।
ধর্ম যবে শঙ্খরবে করিবে আহ্বান
নীরব হয়ে নম্র হয়ে পণ করিয়ো প্রাণ।
মুক্ত করো ভয়,
দুরূহ কাজে নিজেরি দিয়ো কঠিন পরিচয়।
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ফাল্গুন ১৩৪২ (খৃষ্টাব্দ: ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬)
গানটি অন্তর্ভুক্ত হলো বীরাঙ্গনা চিত্রাঙ্গদার আখ্যানে (৪, ১৬)।
সঙ্কোচ থেকে সন্ত্রাসের এই প্যারাডাইম শিফট বা আদিকল্পের বদল, আশ্চর্যভাবেই, আজকের এই (অ)সময়ের সন্ত্রাসকেই তুলে ধরেঃ সন্ত্রাসী শাসক মুকুরে দেখছে ‘অপর’-কে—আর বলছেঃ “তোরাই সন্ত্রাসী, বেশি পোতিবাদ করলে ঠেঙিয়ে (“চড়াম চড়াম”। “গুড়-বাতাসা”। “ঘরেতে ছেলে ঢুকিয়ে দেবো”। “দানা ভরে দেবো”। “আমি গুণ্ডানিয়ন্ত্রণ করি” ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব বললে কেউ কিন্তু গ্রেফতার হয় না। কেবল “We Want Justice” বললেই…) জেলে ভরে দেবো।” সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের “থ্রেট কালচার” এখানেই প্রতিভাত হয়।
জুজুৎসু কোনো হিংসাত্বক মারপিট নয়। এ কলা এক আত্মরক্ষার আত্মিক দর্শন। মনে করিয়ে দিই “Enter the Dragon” ছবির শুরুর খানিক্ষণের মধ্যেই গুরু-শিষ্য সংলাপের একটি বিশেষ অংশঃ
Teacher: I see your talents have gone beyond the mere physical level. Your skills are now at the point of spiritual insight. I have questions: what is the highest technique you hope to achieve?
Lee: To have no technique.
Teacher: Very good. What are your thoughts when facing an opponent?
Lee: There is no opponent.
Teacher: And why is that?
Lee: Because the word “I” does not exist.
Teacher: So, Continue.
Lee: A good fight should be like a small play, but played seriously. A good martial artist does not become tense, but ready. Not thinking, yet not dreaming. Ready for whatever may come. When the opponent expand, I contract. When he contracts, I expand. And when there is an opportunity I do not hit. It hits all by itself.
Teacher: Now, you must remember… the enemy has only images and illusions behind which he hides his true motives. Destroy the image and you will break the enemy. The “it” that you refer to is a powerful weapon, easily misused by the martial artist who deserts his vows. For centuries now, the code of the Shaolin Temple has been preserved. Remember, the honor of our brotherhood has been held true. Tell me now the Shaolin commandment number 13.
Lee: “A martial artist has to take responsibility for himself and accept the consequences of his own doing.”
Teacher: I’m ashamed to tell you now among all the Shaolin men I have taught there is one who has turned the ways of knowledge and strength to his own base ends. He has perverted all we hold sacred.
মনে করিয়ে দিই যে এই চলচ্ছবির গল্পটি ছিলো খানিকটা এরকমঃ ব্রুস লি অভিনিত চরিত্র হলেন একজন মার্শাল আর্টিস্ট, যিনি এক ড্রাগ-চালানকারীকে (আদানি থেকে ডাঃ সন্দীপ ঘোষ?!) ধরবার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই ড্রাগ-গুরুর ধর্ষক গুন্ডারাই ব্রুস লি অভিনিত চরিত্রের বোনের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
ওপরে উধৃত কথোপকথনে যা বোঝা যাচ্ছে, তা হলোঃ প্রতিপক্ষ বা শত্রু আদৌ নেই। ‘আমি’ও নেই। আছে শুধু প্রতিবিম্বন আর ভান। সেই ভানের পর্দা ফাঁস করতে পারলেই শত্রু নিজেই নিজেকে আহত বা নিহত করে। সে যখন নিজেকে বাড়ায়, আমি তখন সঙ্কুচিত হই। ঠিক যেমনটি ঘটেছিলো এই ছবির শেষে। মুকুরের পর মুকুর ভেঙে ফেলছিলেন লি, ধ্বংস হচ্ছিল প্রতিবিম্বন। শেষ অব্দি নিজের অস্ত্রেই নিজে ঘায়েল হন ড্রাগ গুরু “বিগ বস” হান। তাহলে লির পরবর্তী ক্রিয়াকলাপ কি বোনের হত্যাজনিত রাগ থেকে জিঘাংসা? প্রতিশোধ? নাকি অশুভতাকে আত্মবিধ্বংসী করে তোলবার প্রয়াস? তাই তো বলছিলাম, এ এক অদ্ভুত বৌদ্ধ তথা বৌদ্ধিক আত্মরক্ষার দার্শনিকতা।
যাই হোক—সেদিনের সঙ্কোচ আজ অব্দি আমরা যদি না কাটিয়ে উঠতে পারি, তাহলে সন্ত্রাসের তো দেখা মিলবেই। মনে রাখতে হবে, চিত্রাঙ্গদার আখ্যানে দস্যুদলের গানের ঠিক পরেই “সন্ত্রাসের বিহ্বলতা” জায়গা করে নিয়েছেঃ
গ্রামবাসীগণের প্রবেশ
গ্রামবাসীগণ। হো, এল এল এল রে দস্যুর দল,
গর্জিয়া নামে যেন বন্যার জল– এল এল।
চল্ তোরা পঞ্চগ্রামী,
চল্ তোরা কলিঙ্গধামী,
মল্লপল্লী হতে চল্, চল্।
‘জয় চিত্রাঙ্গদা’ বল্, বল্ বল্ ভাই রে–
ভয় নাই, ভয় নাই, ভয় নাই, নাই রে।
অর্জুন। জনপদবাসী, শোনো শোনো,
রক্ষক তোমাদের নাই কোনো?
গ্রামবাসীগণ। তীর্থে গেছেন কোথা তিনি
গোপনব্রতধারিণী,
চিত্রাঙ্গদা তিনি রাজকুমারী।
অর্জুন। নারী ! তিনি নারী!
গ্রামবাসীগণ। স্নেহবলে তিনি মাতা, বাহুবলে তিনি রাজা।
তাঁর নামে ভেরী বাজা,
‘জয় জয় জয়’ বলো ভাই রে–
ভয় নাই, ভয় নাই, ভয় নাই, নাই রে॥
(ঠিক যেন “ডাকিনী যোগিনী এলো শত নাগিনী এলো পিশাচেরা এলোরে শত পাকে বাঁধিয়া নাচে তাথা তাথিয়া নাচে তাথা তাথিয়া নাচেরে নাচে রে...”!)
অর্জুনকে চিত্রাঙ্গদার বন্ধুনীরা জানায় যে এই দস্যুর দল থেকেই তাদের উদ্ধার করবে এই বীরাঙ্গনা (শ্রীমধুসুদনকে স্মরণ করেই বলছি) চিত্রাঙ্গদা— যিনি তখন তপস্যারতা। এই (অ)সময়ে, আমরা জানি, এই দস্যুদল আমাদের অন্তরে-বাহিরে রিপুসম উদ্ভাসে। তাইতো অযোধ্যানাথ পাকড়াশি লিখেছিলেনঃ “লোভ মোহ আদি পথে দস্যুগণ—পথিকের করে সর্বস্ব হরণ।“ তাই আমাদের নিজেদের মগজের ফ্যাসিবাদকে আগেভাগে চিহ্নিত করা দরকার। তবেই তো পেরে উঠবো বিপুল বাবাতান্ত্রিক কতৃত্বব্যঞ্জক শাসককে বেহাল করতে।
কিছু পরেই আবার অর্জুন চিত্রাঙ্গদাকে “চিনছেন” বিশেষীকৃত করেঃ “শুনি স্নেহে সে নারী, শুনি বীর্যে সে পুরুষ।”
সেই দূরদর্শী মানুষটি এখানে অর্জুনের চাউনি (gaze)-তে চিত্রাঙ্গদার জৈব লিঙ্গ (sex) পরিচয় আর সাংলিঙ্গ (gender)-র তফাৎটা অভূতপূর্বভাবে ধরে দিলেন।
নারীর ভিন ধাঁচের ক্ষমতায়নের বা empowerment-এর (এটা কি বিজিগিষা বা will-to-power? তাহলে সেই তো খ্যামতার মাকড়সা জালই বিস্তারিত হলো স্রেফ ভূমিকা-বদলের ওলট-পালট খেলায়? না বোধহয়।) কথাও একইসঙ্গে পেড়ে ফেলা হলো। চিত্রাঙ্গদা জোরের সঙ্গে বলছেনঃ
পূজা করি মোরে রাখিবে ঊর্ধ্বে
সে নহি নহি,
হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে
সে নহি নহি।
যদি পার্শ্বে রাখ মোরে
সংকটে সম্পদে,
সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে
সহায় হতে,
পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ফাল্গুন ১৩৪২ (খৃষ্টাব্দ: ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬)
প্রশ্ন হলোঃ ১৯৩০ থেকে ১৯৩৬-এর মধ্যে এমন কী ঘটলো যে ‘সঙ্কোচ’ সন্ত্রাসে লাফ দিলো? বজায় রাখলো বিহ্বলতা তবুও। খেয়াল রাখতে হবে তখনই চলছে অহিংস আইন অমান্য আন্দোলনে মেয়েদের যোগদান, ওদিকে তৈরি হয়ে গেছে All India Women’s Conference (AIWC), রাউন্ড টেবিল বৈঠক মারফৎ জোরদার কথা চলছে মেয়েদের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে (একইসঙ্গে “Communal Award”-এ মেয়েদের উল্লেখ না থাকবার দরুণ চলছে সমালোচনা), পাশ হচ্ছে Child Marriage Restraint Act এবং সামনে উঠে আসছেন বহু মহিলা রাজনৈতিক নেত্রী ও বিপ্লবীরা। তবুও তো “সন্ত্রাস” কাটে না!
অথবা এই গোটা ব্যাপারটাই হয়তো প্রথম দ্রষ্টা কবির (খানিকটা নৃকেন্দ্রিক হয়েই বলছি) জীবনেতিহাসে ১৯০৫ (বঙ্গভঙ্গ), ১৯১৫ (ঘরে-বাইরে), ১৯১৯ (জালিয়ানওয়ালা বাগ)-এরই অবাধিত সঞ্চার?
এখানেই মনে পড়ে ১৯২৯-এর একটি ঘটনা। দিনটা ১৩ই সেপ্টেম্বর। যতীন দাস বৃটিশ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে শহীদ হলেন দীর্ঘ ৬৩ দিন অনশনের পর (রসিক সহৃদয় পাঠক নিশ্চয়ই আজকের সঙ্গে মিলিয়ে নেবেন এই ঘটনাকে)।
শান্তিনিকেতনে “তপতী” নাটকের মহড়ার মাঝে সেই দূরদর্শী মানুষটি এ খবর পেয়ে বিষণ্ণ চিত্তে লিখলেনঃ
সর্ব খর্বতারে দহে তব ক্রোধদাহ–
হে ভৈরব, শক্তি দাও, ভক্ত-পানে চাহো ॥
দূর করো মহারুদ্র যাহা মুগ্ধ, যাহা ক্ষুদ্র–
মৃত্যুরে করিবে তুচ্ছ প্রাণের উৎসাহ ॥
দুঃখের মন্থনবেগে উঠিবে অমৃত,
শঙ্কা হতে রক্ষা পাবে যারা মৃত্যুভীত।
তব দীপ্ত রৌদ্র তেজে নির্ঝরিয়া গলিবে যে
প্রস্তরশৃঙ্খলোন্মুক্ত ত্যাগের প্রবাহ ॥
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৮ ভাদ্র, ১৩৩৬ (খৃষ্টাব্দ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯)
কিন্তু কোথায় সেই ভৈরব? তাঁকে গরু খোঁজা (গো+এষণা) খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছেনা। আজকে মনমোহনের মতোই বলতে হয়ঃ অন্ধজনে কে দেবে আলো? কে দেবে প্রাণ?
এখানেই আমি বিহ্বল, বিষণ্ণ ও সঙ্কুচিত হয়ে পড়ি। কার কাছে চাইব শক্তি, যদি না তা আত্মশক্তি হয়ঃ “আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়…”?

আরো দেখুনঃ
নিরুপমা, সুদর্শনা, সুরঞ্জনা, আকাশলীনা, চণ্ডালিনী প্রকৃতি, তিলোত্তমারা… VIEW HERE ⤡
কৃষ্ণকলি, নির্ভয়া, আসিফা, বানো, অভয়ারা… VIEW HERE ⤡
রাজা-রানী খান খান! (তাতেই কী হয় অবসান?)… VIEW HERE ⤡
“This is what usually happens”: Rape Culture in West Bengal, India VIEW HERE ⤡
বাবাতন্ত্রের প্রতিনিধির আন্দোলিত ও নিষিদ্ধ হলফনামা VIEW HERE ⤡
