Posted on 2nd October, 2024 (GMT 12:56 hrs)
ABSTRACT
The article explores complex themes related to societal norms, patriarchy, and personal identity, using poetic and symbolic language. It reflects on the manufactured consent around clothing, gender, and body politics, examining how corporate and cultural forces shape individual choices. The narrative critiques the commercialization of love and consent, and uses allegorical references to mythological figures and natural elements to convey deeper emotions about human relationships and environmental destruction. The piece blends philosophy, art, and literature.
PHOTO COURTESY: Abhijit Ghosh
SCULPTURES: The Rape of Prosperina (Right) by Gian Lorenzo Bernini (executed between 1621 and 1622) and The Rape of the Sabine Woman (Left) by Giambologna (1704).
তিলে তিলে যাকে মারা হয়, সেই তো তিলোত্তমা!
এক।। ম্যানুফ্যাকচারিং অফ কন্সেন্ট: ভালোবাসা, পোশাক, সুগন্ধি এবং পুং-অপরাধবোধ।।
আমি সম্ভবত জনৈক জৈবিক পুরুষ। সাংস্কৃতিক নির্মাণে বাবাতন্ত্রের বিষমকামী অধম প্রতিনিধি। সাংস্কৃতিকভাবে নির্মিত, অভ্যস্ত তথা মূল্যবোধিত চোখ আমার–অপরের শরীরের কোথায় কখন যে নজর পড়ে যায়, তার ঠিকঠিকানা থাকে না। শুধু চোখই বা কই কেন? ওর গায়ের সুগন্ধি সুবাস শুধু নাক দিয়ে নয়, জিভ দিয়ে চাটতে থাকি। এই ইন্দ্রিয়ের ভূমিকা-বদলে এই সঙ্গমকাব্য হয়ে ওঠে জ্যান্ত। তবু খালি মনে হয়, ওর আছে তো সম্মতি? নাকি নেই? জয় (না) করে ভয়? হারাই হারাই সদা করে চিত? এইভাবেই একদিন ম্লান হেসে আমি তার মতন এক মহিলার কাছে যুগের সঞ্চিত পণ্যে লীন হতে গিয়ে… সঞ্চিত পণ্য? ওর আমার ব্র্যান্ডেড পোশাক ঠিক করে দিয়েছে কর্পোরেটের ফ্যাশন ডিজাইনাররা। কোথায় কতটা ফাঁক থাকবে–দেহের কোন অংশটা দৃশ্যমান অথবা কুতহলী অদৃশ্যমান হবে কিংবা আমার জিন্সের প্যান্টের কোন ত্রিভুজে, ঠিক অণ্ডকোষে থাকবে ভীষণ চাপ আর আনতাবড়ি বুলেট-ফুটো, তা’ ঠিক করে দিয়েছে, পণ্যায়িত করে দিয়েছে ভালোবাসার সদাগর থেকে প্রেমের ফেরিওলা, অথচ ধনপতি শেঠের জগতে তো প্রেম নেই। অথচ আমি ভাবছি, আমিই আমার চয়িত পোশাক পরছি, পারফিউম ত্বকে দিচ্ছি… আমরা দুজনেই বুঝিনা যে এইটাই আমাদের সম্মতি বা না-সম্মতি।
কাপড়? সেটা যে নেই অসুস্থ রাজা তা জানে না। বুঝি, আইমু ন্যাংটা, যাইমু ন্যাংটা–কাপড়ের নিচে আমরা সব্বাই ন্যাংটো। কাপড় তো রাজার অ-সুখের মতোই বানিয়ে তোলা উপসর্গ। উলঙ্গের তো কোনো পরিচয় নেই, বানিয়ে তোলা কাপড়েই কেউ-বা রাজা, কেউ-বা ভিখিরি।
ও বলে, ‘আমি যাই পরিনা কেন, তাতে তোর কী? আমার শরীরের অ-/দৃশ্যমান অংশে তোর চাউনি পড়লে তোর ওই চোখদুটোই গেলে দেবো। আমারও তো আছে জুগুপ্সা (will to hide–erit celare)। আমি খেপে যাই, ‘তুমি দেখাবে, আর আমি দেখবো না–এ আবার কেমনতরো কথা? তুমি বলবে, ” আ যা, আ যা, মহব্বতের দুকান খুলা হ্যায়”, আর আমি নফরতের এ জগতে মহব্বত-পণ্যের দুকানের রাজনৈতিক খদ্দের হবো না? তাহলে তোমার কিসের তরে এ আয়োজন এমন কলরবে?’
না, আমি সুভদ্র মেকলের বিষবৃক্ষের ফল, তাই রাগ চেপে রেখে আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিই:
“গানে যদি লাগে বিহ্বল তান করিয়ো ক্ষমা॥
চপলতা আজি যদি ঘটে তবে করিয়ো ক্ষমা।
আঁখি যদি আজ করে অপরাধ, করিয়ো ক্ষমা।।”
অ্যাপোলজেটিক আমি যে শব্দবন্ধগুলো ব্যবহার করি, সেগুলোর দিকে ফের তাকাই: বিহ্বল তান, চপলতা, আঁখির অপরাধ। পুং আমি পাপিতাপি বীরপুঙ্গব, তথাপি কেন এই অপরাধবোধ???
Jesus returned to the Mount of Olives, but early the next morning he was back again at the Temple. A crowd soon gathered, and he sat down and taught them. As he was speaking, the teachers of religious law and the Pharisees brought a woman who had been caught in the act of adultery. They put her in front of the crowd. “Teacher,” they said to Jesus, “this woman was caught in the act of adultery. The law of Moses says to stone her. What do you say?” They were trying to trap him into saying something they could use against him, but Jesus stooped down and wrote in the dust with his finger. They kept demanding an answer, so he stood up again and said, “All right, but let the one who has never sinned throw the first stone!” Then he stooped down again and wrote in the dust. When the accusers heard this, they slipped away one by one, beginning with the oldest, until only Jesus was left in the middle of the crowd with the woman. Then Jesus stood up again and said to the woman, “Where are your accusers? Didn’t even one of them condemn you?” “No, Lord,” she said. And Jesus said, “Neither do I. Go and sin no more.”
দুই।। নিসর্গশৃঙ্গার: আকাশলীনা
ক্রমে আলো কমিয়া আসিতেছে–আলোকপর্বের ইন্তেকাল ঘটিয়াছে । প্রাকপুরাণিক বাল্যবন্ধু যত বিগত সবাই, আমি অসহায় একা। অতএব, পান্থজনের সখা খুঁজি হন্যে হয়ে, কোথায় গাই যাত্রাপথের আনন্দগান? কেউ নেই–নিসর্গের সঙ্গে মিতালি পাতাতে গিয়ে দেখি সে ব লা ৎ কৃ ত, বিধ্বস্ত। এ পৃথিবীতে এমন কোনো হাসপাতাল নেই, যা আরোগ্যনিকেতনের পরিণয়ে পরিণীত হতে পারে… তথাপি গোলোকের ক্রমবর্ধমান শিল্পিত ওমের অগ্নিপরিধির মাঝে সহসা দাঁড়িয়ে শুনেছি কিন্নরকণ্ঠ দেবদারু গাছে,দেখেছি অমৃতসূর্য আছে। সব চেয়ে আকাশ নক্ষত্র ঘাস চন্দ্রমল্লিকার রাত্রি ভালাে তবুও সময় স্থির নয়; আরেক গভীরতর শেষ রূপ চেয়ে দেখেছে সে তােমার বলয়।
না, কোনো সোনার তরী-বাওয়া একক বিদেশিনী নারী নয়, মহাবিশ্বের মহা কালো কালের গহ্বরে আকাশলীন হতে গিয়ে দেখি তোমার দুখানি কালো আঁখি-‘পরে বরষার কালো ছায়াখানি পড়ে,ঝরোঝরো ধারা আজি উতরোল, নদীকূলে-কূলে উঠে কল্লোল,বনে বনে গাহে মর্মরস্বরে নবীন পাতা। সজল পবন দিশে দিশে তোলে বাদলগাথা। এল বরষার সঘন দিবস, বনরাজি আজি ব্যাকুল বিবশ, বকুলবীথিকা মুকুলে মত্ত কানন-‘পরে। নবকদম্ব মদির গন্ধে আকুল করে॥ ঘন কালো তব কুঞ্চিত কেশে যূথীর মালা। তোমার চরণে নববরষার বরণডালা। হেরো আকাশের দূর কোণে কোণে বিজুলি চমকি ওঠে খনে খনে, দ্রুত কৌতুকে নিসর্গের রুদ্র রূপে তব বাতায়নে কী দেখে চেয়ে। অধীর পবন কিসের লাগিয়া আসিছে ধেয়ে॥
সেই নিরুদ্ধ সমীরণের বদহাওয়ায় আছে বিষনি: শ্বাসের ফুসফুস যন্তর-না– খাঁচার পাখি যে কখন উড়ে যাবে, তা’ জানি না। এমনই সময় ভেনাসের জন্ম হয় বত্তিচেল্লির চিত্ররেখাডোরে। নোনা বিষাক্ত সমুদ্রফেনা আর বদহাওয়া লেগে দ্বীপবাসিনী ভালোবাসার অবতারিনীর আবির্ভাব ঘটে। একি! ভেনাসের পা তো বিশাল ঝিনুকের ওপর নেই! এতো শূন্যগগনবিহারী! ওরে ও প্রকৃতি, তোকে ছোঁবো না, ছোঁবো না ছি:, তুই তো চণ্ডালিনীর ঝি।
অস্পৃশ্যা কে প্রকৃতি? চাহিয়া দেখো রসের স্রোতে রঙের খেলাখানি। চেয়ো না চেয়ো না তারে নিকটে নিতে টানি॥ এই পৃথিবীর ভালাে পরিচিত রােদের মতন তােমার শরীর; তুমি দান করােনি তাে; সময় তােমাকে সব দান করে মৃতদান বলে: তিলোত্তমা, তুমি আজ মৃত নও। ঝরো-ঝরো ঝরো-ঝরো ঝরে রক্তের ঝর্না। আয় আয় আয় আয় সে বিষের সুধায় হৃদয় ভর্-না॥ সেই বদ্ধ বন্যাধারায় ধারায় চিত্ত মৃত্যু-আবেশ হারায়…
আ মরণ, মরণ রে… স্বীকারোক্তি:
“Immature poets imitate; mature poets steal; bad poets deface what they take, and good poets make it into something better, or at least something different.” — T. S. Eliot
নরাধম আছিল যে নর নরকুলে
চৌর্যে রত, হইল সে তোমার প্রসাদে,
মৃত্যুঞ্জয়, যথা মৃত্যুঞ্জয় উমাপতি।
হে বরদে, তব বরে চোর রত্নাকর
কাব্যরত্নাকর কবি!
এই বয়ান আদ্যন্ত ঐতিহ্যভারাক্রান্ত ঝাপা মাল। মৌলিক মৌলবাদের কোনো দাবি নেই এই বয়ানের কুম্ভিলক অপরিণত আবাল লেখকের–

1 Comment